রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪০ অপরাহ্ন

মেস ভাড়া নিয়ে সংকটে জবি শিক্ষার্থীরা

মেস ভাড়া নিয়ে সংকটে জবি শিক্ষার্থীরা

স্বদেশ ডেস্ক:

করোনাভাইরাস মহামারীতে মেস ভাড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছে সম্পূর্ণ অনাবাসিক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন ধরে আয়ের পথ টিউশনি ও পার্টটাইম জব বন্ধ থাকায় বাসা ভাড়া জোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। এদিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা শিক্ষার্থীদের বাসা ভাড়া দেয়ার জন্য রীতিমত হুমকি-ধমকিও দিচ্ছেন বাসা বাড়ির মালিকরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে পাশ্ববর্তী থানার সহযোগিতা নেয়ার কথা বলা হলেও, থানা থেকে আশানুরূপ সাড়া দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করছেন শিক্ষার্থীরা। এতে করে উভয় সংকটে আছেন শিক্ষার্থীরা।

পুরান ঢাকার কলতাবাজারে বিশ্ববিদ্যালয় লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বির তত্ত্বাবধানে ৮-১০ জন শিক্ষার্থী মিলে একটি মেস বাসা ভাড়া করেন। তিনি বলেন, লকডাউনের দ্বিতীয় মাস থেকেই বাসার মালিক ফোন দিয়ে বাসা ভাড়া চাচ্ছে। কিন্তু মেসের অন্য সদস্যরা দীর্ঘদিন বাড়িতে থাকায় মেস ভাড়া দেয়ার অবস্থায় নেই। তারা ভাড়া দিতে অপারগ। এদিকে বাড়িওয়ালা বাসা থেকে মালপত্র বাহিরে ফেলে দেয়ার হুমকি দিচ্ছেন। এই মুহুর্তে ঢাকায় গিয়ে মালপত্র সরানো সম্ভব না, ভাড়া দেয়াও সম্ভব না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পরামর্শ মতে, নিকটস্থ থানায় সাহায্যের জন্য যোগাযোগ করলে, বাড়িওয়ালার ফোন না ধরার পরামর্শ দেন পুলিশ।

লক্ষ্মীবাজারের রস-মিষ্টি গলিতে মেস ভাড়া নিয়ে থাকেন সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী কামরুন্নাহার। তিনি জানান, পুরান ঢাকায় বাসার মালিকরা ব্যাচেলর ভাড়া দিতে চান না। অনেক কষ্টে মেস ভাড়া করেছি। বাসার মালিক লকডাউনের পরের মাস থেকেই বাসা ভাড়ার জন্য ফোন দিচ্ছে। প্রথম দুই মাসের বেতন দিলেও গত মাস থেকে ভাড়া দেয়া আর সম্ভব হচ্ছে না। এখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কথামতো যদি থানায় ফোন দেই, তাহলে ভবিষ্যতে আর বাসা ভাড়া দিতে চাইবে না মালিকরা। বাড়িওয়ালার সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হবে। হল না থাকায় আমরা পড়েছি চরম সংকটে।

শিক্ষার্থীদের মেস ভাড়া সংকট নিয়ে কয়েকজন বাড়িওয়ালা জানান, বাসা ভাড়ার টাকা দিয়ে তাদের পরিবার চলে। ভাড়ার টাকা না হলে তাদের পরিবার চালাতে কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তবে বেশিরভাগ বাড়িওয়ালা, ভাড়া জন্য শিক্ষার্থীদের প্রেশার করার কোনো কারণ জানাতে পারেন নি। উল্টো শিক্ষার্থীদের বাসা ছাড়া করার হুমকিও দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, আমাদের শিক্ষার্থী বেশি। তাদের হল সুবিধা না থাকায় সমস্যাও বেশি। যার কারনে স্থানীয়ভাবে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারছি না। তবে ক্যাম্পাস খুললেই এই ব্যাপারে আমরা শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে চিঠি দিবো। বেশি পরিমাণ শিক্ষার্থীর সমস্যার সমাধান রাষ্ট্রীয়ভাবেই করতে হবে। এর মধ্যেও যদি কোনো শিক্ষার্থী বাড়ি ভাড়া নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়, আমাদের জানালে আমরা ব্যবস্থা নিবো। পাশ্ববর্তী থানায় জানালে তারাও সহযোগিতা করবে।

ভিসি ড. মীজানুর রহমান বলেন, ক্যাম্পাস খুললেই আমরা বাসা ভাড়া সমস্যা নিয়ে কাজ করবো। এখন কোনো সমস্যা হলে প্রক্টরকে জানালে তিনি ব্যবস্থা নিবেন। আমরা এখন শিক্ষার্থীদের খাবার ও চিকিৎসা সংকট নিয়ে কাজ করছি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877